Pages

বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮

অপরিচিতা ( সার সংক্ষেপ এইচ এস সি বাংলা ১ম পত্র ) কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছোট গল্প

অপরিচিতা (সার সংক্ষেপ এইচ এস সি বাংলা ১ম পত্র)

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছোট গল্প

গল্পটি একটি চমৎকার নৈতিক চরিত্র ও স্বভাবসিদ্ধ মানুষের জীবন প্রবাহ নিয়ে লেখা গল্প। 
গল্পটির মূল চরিত্রে তুলে ধরা হয়েছে অনুপম, কল্যাণী, অনুপমের মামা, অনুপমের বন্ধু হরিশ এবং বিনু দাদা
এই মাত্র কয়েকটি চরিত্র নিয়ে গল্পটি লেখা হয়েছে চলিত প্রাঞ্জল ভাষায় সহজ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ।
২৭ বছর বয়সের টগবগে যুবক অনুপম এম এ পাস করা একজন স্মার্ট যুবক। অনুপমের বাবা পূর্বে বলতে গেলে দরিদ্র পরিবারেরই একজন ছিলেন কিন্তু ওকালতি করে প্রচূর অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়। আর অনুপমের মা ছিলেন একটি গরীব পরিবারের মেয়ে। 

গল্পে অনুপমের বয়স ২৭ বছর হলে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে এবং অনুপমের মামার বয়স ৩৩ বছর। বিষয়টি পরিস্কার করা দরকার যে অনুপমের বয়স যদি ২৭ বছর হয় আর অনুপমের মামা যদি ৬ বছরের বড় হয় তাহলে ২৭+৬=৩৩ বছর হবার কথা। 
অনুপমের বাবা একজন উকিল হলেও এই পরিবারের সকল বিষয়াদির ক্ষেত্রে সকল সিদ্ধান্ত সমূহের ভার অনুপমের মামার উপরই থাকে অর্থাৎ অনুপমের মামাই হচ্ছে এ পরিবারটির আসল মোড়লের মত। অর্থাৎ সর্ব বিষয়ে জ্ঞান দাতা সিদ্ধান্তের রায় প্রদান করেন মামা। 
সিনেমাটিক এ গল্পটির মূল চরিত্র খুজতে গেলে স্পষ্ট বুঝা যায় যে এ পরিবারের পরিচালক হচ্ছেন অনুপমের মামা। 
অতএব, এম এ পাস অনুপমের বিবাহের কার্যটি সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা তার মামা। 
তার মামার পছন্দই গুরুত্বপূর্ণ আর মামার ইচ্ছে হলো একজন মেয়ে যে মেয়ে কখনো এ বাড়ীতে আসার পরে সব সময় মাথা উচু করে বড় গলায় কথা না বলেএবং মেয়ের বাবা ধনী না হলেও যৌতুকের টাকা যেনো ঠিকমত দিতে পারে এবং মেয়ে যেনো কোন দিনই যৌতুকের সূত্র ধরে কোন দাপট না দেখায়। 
অনুপমের বন্ধু হরিশ। এ হরিশ কানপুরে থেকে কাজ করে। সে ছুটিতে কোলকাতায় অনুপমের বাড়ীতে এসে বিভিন্ন রসালো কথার মালায় এম এ পাস অনুপমকে উতলা করে তুললো। 
অনুপমকে উত্তেজিত করার মত করে বলছে- মেয়ে খুজছো? একটি খাসা মেয়ে আছে। একটি টগবগে এম এ পাস ছেলে বিবাহের জন্য মেয়ে খুজছে আর ঠিক সে সময়ে যদি কোন বন্ধু এসে এমন খবর দেয় যে একটি খাসা মেয়ে আছে, তাহলে কার মন উতলা না হবে? 
অন্যদিকে অনুপমের মামা যে ধরনের মেয়ে খুজছিলো ঠিক তেমন মেয়ের সন্ধান পেলো যেনো। মেয়ের পরিবার পূর্বে অনেক ধনী ছিলো বর্তমানে আর্থিক দৈন্যতার কারনে গরীবই বলা চলে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মান সন্মান রক্ষার্থেই লোক চক্ষুর আড়ালে দূরে গিয়ে বসবাস করছে। তাই মেয়েটির পরিবার এখন পশ্চিমে গিয়ে বসবাস করছে। 
সব কিছুই ঠিক ছিলো কিন্তু মেয়ের বয়স মাত্র ১৫, এ কথা শুনে তার মামার মন খারাপ হয়ে গেলো। তবে বয়স কোন বড় ধরনের সমস্যা নয় বলে এড়িয়ে গেলো এবং মেয়েকে আশীর্বাদ করার জন্য অনুপমের পিসতুতো ভাই অর্থাৎ ফুফাতো ভাই বিনু দাদাকে পাঠানো হলো । 
বিনু দাদা আশীর্বাদ করে ফিরে এসে মন্তব্য করে বললেন মেয়েতো নয়, খাটি সোনা বটে
বিনু দাদার কথা বলি। বিনু দাদা এমনি একজন ব্যক্তি যিনি সাধারনত আমরা যেভাবে সব কিছুকে সরাসরি মূল্যায়ণ করে বলে থাকি চমৎকার, বিন্দু দাদা সেটিকে বলবেন মন্দ নয় বা মোটামুটি। অর্থাৎ বিনু দাদার কথা ও গাম্ভীর্যপূর্ণ মতামতের প্রতি সকলেরই আস্থা রয়েছে। 
সূতরাং সে বিনুদা যখন এসে বলেছেন মন্দ নহে খাটি সোনা বটে” তখন শিক্ষিত অনুপম বুঝে নিয়েছে যে মেয়েটি কত সুন্দর হতে পারে। 
মনে মনে অনুপম খুব খুশি যে এমন একটি সুন্দরী রমণী তার জীবন সঙ্গী হতে চলেছে। 
এবারে কল্যাণীর কথায় যাই কল্যানী হচ্ছে এ গল্পের নায়িকা। আর প্রায় চল্লিশ বছর বয়স্ক শম্ভূনাথ বাবুর মেয়ে হচ্ছে কল্যাণী ।  
সব কথাবার্তা আলোচনার মাধ্যমে বিবাহের দিন ধার্য হলো এবং বরযাত্রী গেলেন কল্যাণীদের বাড়িতে। প্রথমেই বাড়ীতে প্রবেশ করে অনুপমের মামা খুশি হতে পারলেন না কারন কল্যাণীর বাবা তাদের অভ্যর্থনা জানাতে অর্থাৎ বরযাত্রীদের রিসিভ করতে আসেননি। 
 অন্যদিকে বিবাহ অনুষ্ঠানের সাজ গোজও অনুপমের মামার পছন্দ হয়নি। 
সম্ভনাথ বাবুর এক উকিল বন্ধু বরযাত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে অত্যন্ত শালীনতা ও ভদ্রতার সাথে যে কারনে মামা বিষয়টি নিয়ে বেশী বারাবারি করেননি।  তা না হলে হয়তো অঘটন ঘটেই যেতো। 

অনুপমের মামা খুব নীচু মনের মানুষ এ কথা প্রমান করে এ কারনে যে সে ভেবেছিলো শম্ভুনাথ বাবু হয়তো গহনা লেন দেনের ক্ষেত্রে ঠকাবে আর সে কারনেই অনুপমের মামা তার বাসার শেকড়াকে নিয়ে এসেছেন, কি কি গহনা অর্থাৎ সোনা দানা ঠিক মত দিয়েছে কিনা বা এ সোনা আসল কিনা ইত্যাদি,। অনুপমের মামা এ সব করে নিজেকে খুব নীচু মনের মানুষের পরিচয় দিয়েছেন অপরপক্ষে শম্ভুনাথ বাবু একজন অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন  উচুমনের শক্ত একজন মানুষ যার মধ্যে আত্ম সন্মানবোধ প্রচন্ডভাবে কাজ করে। গরীব হতে পারেন অর্থহীন হতে পারেন কিন্তু ব্যক্তিত্বকে কখনো হেয় প্রতিপন্ন করেননি। 
কিছু লোক আছে না, যাদের আমরা বাচাল বলে থাকি, অনুপমের মামা হচ্ছেন সে প্রকৃতির একজন লোক। সারাক্ষন কেবল বগ বগ করতেই থাকে আর শম্ভুনাথ বাবু হচ্ছেন কম কথা বলেন, তবে যা’বলেন তা মূল্যবান এবং কথা রাখার চেস্টা করেন কঠিন ভাবে। 

সম্ভুনাথ বাবু গহণাগুলো নিয়ে এলেন এবং অনুপম কে ডাকলেন। এ কারনে ডাকলেন যে অনুপম তো একটি এম এ পাস অর্থাৎ শিক্ষিত ছেলে। সে দেখুক যে তার মামা কত হীন মনমানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি। যিনি বরকে দেয়া গহণা নকল কিনা বা কম কিনা অর্থাৎ মেয়ের বাপ হয়ে আমি ঠকিয়েছি কিনা ইত্যাদি। 
শম্ভুনাথ বাবু মূলতঃ দেখতে চেয়েছিলেন যে এম এ পাস করা বর তার মামার অতিরঞ্জিত কাজের জন্য আদৌ প্রতিবাদ করে কিনা? সেতো শিক্ষিত ছেলে, তার সে শিক্ষার প্রমান এখানেই পাওয়া যাবে এই ভেবে তিনি অনুপম কে ডাকলেন। যদি সে প্রতিবাদ করে তাহলেই তার মেয়েকে অনুপমের হাতে তুলে দেবেন আর যদি সে প্রতিবাদ না করে তাহলে মনে করবো সে শিক্ষিত নয় এবং শিক্ষিত হলেও কোন ব্যক্তিত্ববোধ নেই এবং সে তার মামার পদতলে বড় হওয়া ব্যক্তিত্বহীন ছেলে। 
শম্ভুনাথ বাবু অনুপমকে বললেন বাবা তোমার মামা সোনা দানা গহণা পাতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন, তুমি কি কিছু বলবে? 
কথার উত্তর দিলেন অনুপমের মামা বললেন, সে কি বলবে, আমার যা কথা সেটাই চূড়ান্ত, সে কিছু বলবে না। 

আসলেই অনুপম কিছু বলল না। শম্ভুনাথ বাবু বুঝে নিলেন ছেলে এম এ পাস হলেও তার কোন নিজস্ব ব্যক্তিত্ব স্বকীয়তা সন্মান বোধ বলতে কিছু নেই, সে তার মামার পদদলে আশ্রয়গ্রহণকারী একটি ছেলে। 
পরীক্ষা শুরু হলো। দেখা গেলো সব স্বর্ণ গুলোই খাটি এবং কোথাও কোন গলদ নেই স্বর্ণগুলো এতই দামী যে এ সময় সাধারণত পাওয়া যায়না। 

 কিন্তু ছোট্ট একটি কানের দুল দেখা গেলো স্বর্ণের চেয়ে ভিন্ন এক ধরনের স্বর্ণ এবং পরে জানা গেলো ঐ দুলটিই অনুপমের মামা কল্যাণীকে দেখতে এসে আশীর্বাদ করার সময় দিয়েছিলো এবং এটাও প্রমানিত হলো যে ওটা খাটি সোনা নয়, নকল। 

শম্ভুনাথ বাবু তখন বললেন এটা আপনাদের নিকটই রেখে দেন। এরপরে অনুপমের বাবা পাশ কাটিয়ে প্রসঙ্গ বদলে দিয়ে বললেন চলুন বিয়ের কাজ শুরু করি। শ্মভুনাথ বাবু বললেন না, বিয়ের আগে আপনারা খাওয়া দাওয়া করেন। অর্থাৎ অনুপমের মামা আসলে বুঝতে পারেন নি যে শম্ভুনাথ বাবু কি কারনে আগে খাবারের কথা বললেন এবং ঘটনাটি কি ঘটতে যাচ্ছে। মামা একটু অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলেন ব্যাপার কি বিয়ে আগেই খাওয়া দাওয়া, এ কেমন কথা? অনুপমের মামা বললেন ঠিক আছে আমরা তাহলে খাই, অনুপম সবাই গিয়ে বসুক। সম্ভুনাথ বাবু বললেন না অনুপমও আমাদের সাথেই খাওয়া দাওয়া করুক। খাওয়া দাওয়া শেষে অনুপমের মামাকে বললেন এখন তাহলে আপনারা সবাই যেতে পারেন। অনুপমের মামা একটু অবাক হয়ে গেলেন, কি ব্যাপার বিয়ে না হবার আগেই আমাদের যেতে বলছেন, বোধ হয় ঠাট্টা করছেন, তাই জিজ্ঞেস করলেন আপনি কি ঠাট্টা করছেন নাকি ? 

ঠাট্টা করবো কেন? যে ব্যক্তি ভাবতে পারেন যে আমি আমার মেয়ের বিয়েতে বাবা হয়ে মেয়ের স্বর্ণ চুরি করতে পারি, এত নীচু মনের অর্থাৎ এত হীন মনোবৃত্তি সম্পন্ন মানুষের ঘরে তো আমার মেয়ে বিয়ে দিতে পারিনা। 

শেষ অবধি অনুপমের মামা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ের আসর থেকে চলে আসলেন। কিন্তু আসার সময় অনেক জিনিষ পত্র ভেঙ্গে চুরমার করে একেবারে লংকা কান্ড ঘটিয়ে চলে এলেন। 
অন্তত যদি না খেয়ে চলে আসতে হতো, কোন কথা ছিল না কিন্তু সম্ভুনাথ বাবুর বিচক্ষনতা আতীথেয়তার নিকট মাথা হেট হয়ে গেলো অর্থাৎ সম্ভুনাথ বাবু ভদ্রতার সাথে মেহমানদের খাওয়া দাওয়া করার পরে অত্যন্ত বিনয়ের সাথেই জানিয়ে দিলেন যে মেয়ে দেবেনা। 
অনুপমের মামা রেগে বেগে আগুন। তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে বললেন আমি দেখে নেবো এই মেয়ে কিভাবে বিয়ে দেন এবং কোথায় বিয়ে দেন। 
এর পরে প্রায় বছর গড়িয়ে গেলো। অনুপমের বাড়ীতে আর বিবাহ সংক্রান্ত কোন আলাপ আলোচনা ওঠেনি। কারন বিয়ে করতে গিয়ে মেয়ের বাড়ী থেকে অপমানিত হয়ে ফিরে আসার গ্লানি তাদের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। 
ও দিকে কল্যানীর নাকি আবারও বিয়ে ঠিক হয়েছে এবং কল্যাণী নাকি জানিয়ে দিয়েছে, সে আর বিয়ে করবেনা ।
একদিন অনুপম তার মাকে নিয়ে তীর্থ ভ্রমনে যাবার উদ্দেশ্যে রেল গাড়ী যোগে রওয়ানা দিয়েছে। এমন সময় হঠাত একটি স্টেশনে রেল গাড়ী থামার পরে অনুপমের ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে শুনতে পেল একটি মিস্টি কন্ঠের মেয়ে কাউকে বলছে জলদি চলে আয় এ গাড়ীতে যায়গা আছে। 
অনুপম অভিভূত হলো। বিমূগ্ধ শ্রোতার মত মেয়ের কন্ঠের স্বরধ্বনি অনুপমের হৃদয়ে বাজতে থাকলো। মনে হলো মেয়েটির কন্ঠে যেনো সঙ্গীতের সুর লহরী ধ্বনিত হচ্ছে, অনুপম যেনো সুমধুর কন্ঠে গান শুনতেছে। 

অনুপম রেলগাড়ীর জানালা খুলে মেয়েটিকে দেখার চেস্টা করলো কিন্তু দেখতে পেলোনা কারন স্টেশনটিতে অন্ধকার ছিল। ট্রেন ছেড়ে দিলও কিন্তু অনুপমের আর ঘুম হলোনা, সে কেবলই সে মেয়েটির কথা ভাবছে, যদি এ ট্রেন থেকে মেয়েটি কোথাও নেমে পরে অথবা যদি দেখা না পায়। 
পরের দিন একটি স্টেশনে নেমে অনুপমকে গাড়ী করতে হবে।
স্টেশনে নেমে গাড়ী বদল করা খুব কঠীন। সব গাড়ীতেই প্রচন্ড ভীড় যে কারনে আর ১ম শ্রেণীর গাড়ী ধরা হলোনা, শেষ মেষ দ্বিতীয় শ্রেনীর গাড়ীতেই মাকে নিয়ে যেতে হবে অনুপমের। ২য় শ্রেণীর গাড়ীতেও এত ভীড় যে অনুপম ভেবে উঠতে পারছিলো না যে কি করবে। 
হঠাত অনুপম দেখলো একটি মেয়ে তার মাকে ডাকছে। বলছে আপনারা আমার গাড়ীতে আসুন, এখানে অনেক যায়গা আছে।  
অনুপম অবাক হয়ে গেলো- এইতো সেই কণ্ঠ যে কণ্ঠ সে কাল অন্ধকারে রাতে শুনেছিলো। 
অনুপম আর দেরী না করে তার মাকে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ঐ মেয়েটির গাড়ীতে ওঠার জন্য রওয়ানা দিলও কিন্তু গাড়ীতে ওঠার আগে হঠাত অনুপমের মনে পড়লো যে তার ফটো তুলবার ক্যামেরাটি সে ফেলে এসেছে আগের গাড়ীতে। 

অনুপম আর তার মা মেয়েটিকে দেখে অবাক হয়ে ভাবতে লাগলো এত সুন্দর একটি মেয়ে কিভাবে গাড়ী চালক হতে পারে? তবে জিজ্ঞেস করার মত সাহস পাচ্ছিলো না। 
ভাবতে ভাবতে ইতোমধ্যে গাড়ী কানপুরে এসে গেছে। 
অনুপমের মা মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো তোমার নাম কি মা? 
মেয়েটি বলল আমার নাম কল্যাণী । অনুপমের মা অবাক হয়ে গেলো কারন এক বছর পূর্বে তার ছেলের সাথে যে মেয়েটির বিয়ের কথা ধার্য হয়েছিলো সে মেয়েটির নামও কল্যানী ছিল। তবে যেহেতু অনুপমের মা মেয়েটিকে সরাসরি দেখেনি তাই কল্যাণীর সামনে থেকে দেখা সত্বেও চিনতে পারছে না এই সে কল্যাণী। 
জিজ্ঞেস করলো তোমার বাবা? 
কল্যাণী জানালো তার বাবা স্থানীয় একজন ডাক্তার তার নাম সম্ভুনাথ সেন। অনুপম ও তার মা চলে গেলো। 
এর পরে অবশ্য অনুপম তার লোভী মামার নিষেধ অমান্য করে কানপুরে এসে সম্ভুনাথ বাবুর সাথে দেখা করে বিনয়ের সাথে বিবাহের কথা পুন উন্থাপন করে ছিলো কিন্তু কল্যাণী রাজী হলো না। সে স্পষ্ট জানিয়ে দিলও আমি বিয়ে করবো না। 
অনুপম জিজ্ঞেস করেছিল কেন? 
কল্যাণী জানালো মাতৃ আজ্ঞা। 

ভালো লাগলে অথবা এ গল্পটি কোন ছাত্রছাত্রীদের সার সংক্ষেপ হিসেবে কাজে লাগলে খুশি হবো। সাবস্ক্রাইব ও ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে সংশোধনের জন্য মন্তব্য করলে অবশ্যই সংশোধন করবো। 
অনেক অনেক ধন্যবাদ দেখার জন্য।